Success Stories

অনিমা দাস, শহরের নামী স্কুলের শিক্ষার্থী, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া রোজ সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে ওঠে। তাকে খাবার খেয়ে তৈরি হয়ে সকাল আটটার মধ্যে ভারি একটা ব্যাগ নিয়ে স্কুলে পৌঁছাতে হয়। বেলা দুইটায় ক্লাস শেষ। তারপর আধা ঘণ্টার বিরতি। স্কুলেই কোচিং করে সে; বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। বাড়িতে ফিরতে ফিরতে সাড়ে পাঁচটা। তারপর আধাঘন্টা লাগে মুখ হাত ধুয়ে খাবার খাওয়ার জন্য। সন্ধ্যা ছটায় আবার গৃহ শিক্ষক আসেন তাকে ইংরেজি পড়াতে। তিনি যেতে না যেতেই আবার এক জন আসেন সায়েন্স পড়াতে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত। তার পর আসে সেই কাক্ষিত সেই সময় যে সময় সে একটু মোবাইল এ গেম খেলে আবার খেয়ে উঠে পরের দিনের জন্য পড়া রেডি করতে বসে রাত ১১টার দিকে ঘুমোতে যায়।

১১ বছরের অনিমার এমনি দিন কাটে শুধু রবিবার ছাড়া তবে সেদিন আবার খুব নড়চড় হয়না। আমি আজ আনিমার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তার জীবন এর প্রতিদিনের রুটিন প্রায় একই। টেলিভিশন দেখে না, খেলাধুলা করে না, সিনেমা দেখাতো তার কাছে অলিক কল্পনা, পত্রিকা আর গল্প বই পড়াও হয়ে উঠেনা তার এই রোজ দিনের রুটিনে। তবে রবিবার মাঝে মাঝে বাইরে খেতে যায় বাবার সাথে।